লার্ভার খাদ্য (২.৬.৫)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK
263

সাধারণত চিংড়ির লার্ভাকে ফাইটোপ্লাংকটন, জুপ্লাংকটন, ডেট্রিটাস, পলিকেট, ছোট ক্রাস্টেসিয়ান সরবরাহ করা হয়। তবে নগ্নি অবস্থায় এরা খাবার গ্রহণ করে না কেননা তাদের নিজেদের শরীরের কুসুম থলি থেকে তারা পুষ্টি গ্রহণ করে। প্রোটোজোয়া পর্যায়ে খাবার গ্রহণ শুরু হয়। তবে বয়সের সাথে সাথে এদের খাদ্য পছন্দ পরিবর্তিত হয়। প্রাথমিকভাবে এরা ফাইটোপ্লাংকটন পছন্দ করলেও পরবর্তীতে অন্যান্য খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়। লার্ভার বিভিন্ন খাদ্য তালিকা নিম্নরূপ-

  • প্রাথমিকভাবে এককোষী শৈবাল (Algae) অথবা ঈস্ট (Yeast) জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
  • প্রোটোজোয়া থেকে মাইসিস দশায় উত্তরণের সময় রটিফার, ডায়াটম (Chaetoceros sp Tetraselmis sp; Skeletonema sp) ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।
  • পোস্ট লার্ভায় উত্তরণের সময় আর্টিমিয়া, ডিমের কুসুম, সয়াবিন পাউডার, ঈষ্ট, শৈবাল একত্রে মিশিয়ে খাদ্য তৈরি করে লার্ভাকে প্রদান করা হয়। আর্টিমিয়ার পরিবর্তে মাছের কিমাও ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় আর্টিমিয়ার সাথে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড যোগ করে প্রদান করা হয়। এতে খাদ্যের পুষ্টিগুণ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সামপ্রতিক সময়ে কৃত্রিম খাদ্যের প্রচলন বেড়েছে। যেমন-

 ক) জমাট শুকনো খাদ্য- Spirulina পাউডার (Freeze dried feed)

খ) Microparticulate বা ক্ষুদ্রকণায় পরিণত যৌগিক খাদ্য।

গ) Microencapsulated diet (অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সমৃদ্ধ আর্টিমিয়া)।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...